এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না কেন, করণীয় কি?
এন্টিবায়োটিক কাজ না করার কারন ও আমাদের করণীয় সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হল। আশা করি আপনারা উপকৃত হবেন।
কাজ না করার কারনঃ-
কারণ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই বিনা প্রয়োজনে যখন তখন এন্টিবায়োটিক সেবন।এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার যখন ঠিকমত হয় না অর্থাৎ সঠিক ডোজ না হওয়া বা সঠিক এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার না করা বা প্রয়োজন না থাকা সত্তেও এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার করা। তখন জীবাণু সেই এন্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে এমন কিছু পরিবর্তন নিজের মাঝে আনে সেজন্য আর ওই এন্টিবায়োটিক কার্যকরী হয় না।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, একটা বা একজন মানুষের শরীরের জীবাণুতে যে পরিবর্তন আসে, একটা এলাকার সব জীবাণুতেই কি সেই পরিবর্তন আসবে? এলেও তা কীভাবে? এর উত্তর হচ্ছে, সেই পরিবর্তনটি এলেই হবে।
কেননা, যে জীবাণু নিজের জেনেটিক কোডে পরিবর্তন এনে রেজিস্ট্যান্ট হয়, সেই জীবাণু বিভিন্নভাবে অন্য জীবাণুর মাঝে এই জেনেটিক কোড ছড়িয়ে দিতে পারে অথবা একটি এক্সট্রা জেনেটিক কোড ছড়িয়ে দিতে পারে পরিবেশে, পরবর্তী সময়ে পরিবেশের অন্যান্য জীবাণু সেই কোড গ্রহণ করে রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যেতে পারে।
আমাদের করণীয়ঃ-
WHO এর পরামর্শ অনুযায়ী____ ডাক্তারের ব্যবস্থাপত্রে উল্লিখিত ডোজ ও সময় অনুসারে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করুন।
__ ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করুন কোন এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়েছে।
__ সর্দি কাশি এবং আধিকাংশ ডায়রিয়ার চিকিৎসায় এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হয় না, এর জন্য তরল পানীয় ও বিশ্রামই যথেষ্ট।
__ অতীতে অসুস্থতার জন্য দেয়া এন্টিবায়োটিক চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া আবার ব্যবহার করা যাবে না।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
স্বাস্থ্য বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।