ছবি ঘর | নির্মাণ তথ্য | খাবার | কৃষি | পড়াশোনা | প্রযুক্তি | দেশ | ইসলাম | লগইন

বিনা ওষুধে উপযুক্ত খাবারের দ্বারা রোগ নিরাময় করুন

ক) খাদ্যবিজ্ঞানীরা বলেন, “আপনি যা খান আপনি তা-ই।” আজকাল যে অনেক জটিল রোগ আমাদের পিছু নিয়েছে তার একটা বড় কারণ হল কৃত্রিম সার ও কীটনাশক বিষ ব্যবহারের এ যুগে খাদ্যের আদি বিশুদ্ধতা অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছে। তার ওপরে রয়েছে নানা রকম প্রক্রিয়াজাত, ভেজাল মিশ্রিত ও রাসায়নিক উপায়ে সংরক্ষিত খাদ্য যা কোনোভাবেই খাঁটি ও টাটকা খাবারের সমকক্ষ হতে পারে না। ফ্রিজে দীর্ঘদিন রাখা খাদ্যও ক্ষতিকর। অথচ সুস্থ জীবকোষের জন্য বিশুদ্ধ রক্ত দরকার যা শুধুমাত্র খাঁটি ও টাটকা খাবার থেকেই তৈরী হয়।

খ) খাদ্যে একটি গুণগত উপাদান হচ্ছে আঁশ যা অন্ত্রনালী পরিষ্কার রাখে বলে ক্যান্সার প্রতিরোধ সহজ হয়। গমের আটায় আঁশ আছে, ময়দায় নেই। ময়দা একটি প্রক্রিয়াজাত মৃত খাদ্য যা কোষ্ঠকাঠিন্য ও ক্যান্সারের সহায়ক। এ রকম আরেকটি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হচ্ছে চিনি যা অনেক মারাত্মক রোগের কারণ রক্তের ঘনত্ব বাড়ায় এবং হাড় পর্যন্ত ক্ষয় করে। সুতরাং ময়দা ও চিনির তৈরী খাদ্য পুরোপুরি বর্জন করা ভালো। সেই সাথে তেল, লবণ ও মশলা নামমাত্র পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।

গ) প্রতিদিনের আহার্ষের শতকরা ৪০ ভাগ শ্বেতসার, ১৫ ভাগ আমিষ এবং ৪৫ ভাগ শাকসবজি ও ফল দিয়ে পূরণ করুন। তবে শ্বেতসার জাতীয় খাদ্য যথা ভাত, রুটি, আলু ইত্যাদির সাথে ফল খাবেন না, অন্তত আধ ঘন্টা পার্থক্য রেখে খাবেন। শ্বেতসারের সাথে আমিষ জাতীয় খাদ্য যথা মাছ, মাংস, ডিম খাওয়াও ভালো নয়। সবজিই হচ্ছে একমাত্র খাদ্য যা আমিষ কিংবা শ্বেতসার - উভয়ের সাথেই খাওয়া যায়। দিনে অন্তত আধা কেজি সবজি খান। সকাল শুরু করুন বেশ খানিকটা কাঁচা পেঁপে ও ফল খেয়ে। এতে যকৃৎ ভালো থাকবে। অংকুরিত গম, ছোলা, মুগ, সিমবীচি প্রভৃতি এবং আটা ও যবের তৈরী খাদ্য নাস্তা হিসেবে ভালো। শাক, সিম ও কপি রাতের বেলায় পেটে বায়ু তৈরী করে বলে এগুলো দিনে খাওয়া উচিত।

ঘ) আমিষের উৎস হিসেবে ডাল চমৎকার। বিশেষত মুগ, মসুর ও মাসকলাই। তাছাড়া ছোলার ডাল ও অংকুরিত ছোলা সব বয়সের মানবদেহে আমিষের ঘাটতি পূরণ করে এবং বহুমুত্রে ভালো। সেদ্ধ সয়াবিনে আছে এমন উপাদান যা বহুমূত্রে এবং পুরুষের প্রোস্টেট গ্রন্থি ও নারীর জরায়ু রক্ষায় উপকারী। প্রাণীজ আমিষের জন্য মাছ, মুরগীর মাংস ও ডিমের শ্বেতাংশ ভালো। লাল মাংস অর্থাৎ গরু-খাসির মাংস উপাদেয় হলেও ক্ষতিকর চর্বি থাকায় তা অনেক ভয়াবহ রোগের উৎস।

উ) সকালে দাঁত মাজার আগে কমপক্ষে ৬০০ গ্রাম পানি পান করার পর ৪৫ মিনিট পানাহার বন্ধ রাখুন। এতে কোষ্ঠ পরিষ্কার হয় ও অঙ্পতাসহ বহু জটিল রোগ সারে। দিনে ৮/১০ গ্লাস পানি পান করুন। মেয়েরা কখনও দাঁড়িয়ে পানি পান করবেন না, এতে জরায়ুর ক্ষতি হয়। স্বাস্থ্যকর পানীয় হিসেবে দুধ চিনি ছাড়া হালকা চা ভালো। ডাবের পানিও ভালো, তবে দিনে একটির বেশী নয়। গরমে প্রাণ জুড়াতে লেবুজলে মধু বা অল্প গুড় মিশিয়ে পান করুন এবং কোলাজাতীয় যাবতীয় কোমল পানীয় থেকে দূরে থাকুন। কারণ স্রেফ মুনাফালোভী ফর্মুলায় বাজারজাত এবং ঝলমলে বিজ্ঞাপনে দেখানো সুদৃশ্য বোতলে ভরা, প্রচুর চিনিগোলা ও সুস্বাদু এসব শরবত ডায়াবিটিসসহ অনেক বড় বড় রোগের কারণ। (এগুলোর সাথে এখন ফাস্ট ফুড যোগ হওয়ায় ফাস্ট ডেথ বা দ্রুত মৃত্যুর ভিত্তি তৈরী হয়েছে।)

চ) খাওয়ার পরিমাণ এবং সময়ও গুরুত্বপূর্ণ। কখনও পেট পুরে খাবেন না। প্রতিদিন একই সময়ে খাওয়া উচিত। রাতের খাওয়া আটটার মধ্যে চুকিয়ে ফেলা ভালো। কারণ বিকেল থেকে হজম শক্তি কমতে থাকে।

উৎস ও ব্যবহারঃ-

স্বাস্থ্য বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

একই ধরনের বিষয়ঃ-

বিষয়: রোগ প্রতিরোধকারী খাবারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

সর্বশেষ প্রকাশিত বিষয়

বিষয়: ব্রণ কি বা কাকে বলে, ব্রণ কেন হয়, ব্রণ এর লক্ষণ কি কি?

বিষয়: মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধ বা ঔষধের নাম

বিষয়: ব্রণ বা ব্রণের দাগ দূর করার উপায় জেনে নিন

বিষয়: খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদান (পরিমান সহ)

বিষয়: রোগ প্রতিরোধকারী খাবারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

বিষয়: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কখন কোন খাবার খাবেন

বিষয়: বিনা ওষুধে উপযুক্ত খাবারের দ্বারা রোগ নিরাময় করুন

বিষয়: রোগ প্রতিরোধক খাবার ও পানীয়ের একটি তালিকা

বিষয়: এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব

বিষয়: এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না কেন, করণীয় কি?

বিষয়: ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স কি, ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হলে কি ক্ষতি হয়?

বিষয়: এন্টিবায়োটিক ও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি, রেজিস্ট্যান্স হলে করণীয়

বিষয়: ঔষধ ও এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে কিছু তথ্য

বিষয়: ঔষধ সংরক্ষণ, ব্যবহার বিধি ও সতর্কতা