রোগ প্রতিরোধক খাবার ও পানীয়ের একটি তালিকা
রোগ প্রতিরোধক খাদ্য ও পানীয়ের একটি ছোট তালিকা দেয়া হল:
« যব বহুমূত্রে উপকারী, কোলেস্টেরল কমায় এবং ত্বক ও মলাশয় ভালো রাখে।
« গমাঙ্কুর ক্যান্সার প্রতিরোধক।
« দৈনিক কিছু পরিমাণ টক দই এবং সকালে পানি মিশিয়ে তৈরী করে ছেঁকে নেয়া এক গ্লাস সবুজ শাকের রস (বাঁধাকপি, কলমি, থানকুনি, লেটুস, তেলাকুচা, পাথরকুচি ইত্যাদি) সম্ভব হলে মধু, শুকনো আদা ও ত্রিফলা অর্থাৎ শুকনো আমলকি, হরিতকি ও বহেরার গুঁড়ো মিশিয়ে পান করলে শরীর সতেজ থাকে। একইভাবে পান করা ভালো কাঁচা পেঁপে, গাজর ও লাউয়ের মতো সবজি এবং কামরাঙা ও জাম্বুরার মতো ফলের রস।
« কাঁচা বেল ফালি করে রোদে শুকিয়ে তৈরী বেল শুঁট ভিজিয়ে বা সেদ্ধ করে পানিসহ নিয়মিত খেলে পেটের অনেক পুরোনো অসুখ যেমন অজীর্ণ ও আমাশয় সেরে যায়।
« কলমি শাক ত্বক ভালো রাখে ও ঘা সারায়।
« কচু শাক রক্ত তৈরী ও পরিষ্কার করে।
« থানকুনি পাতা পেট, চোখ ও চুল ভালো রাখে।
« পুদিনা পাতা ফুসফুস, হৃদপিণ্ড ও পেট ভালো রাখে।
« আদা বাত ও মাথাব্যথা কমায় এবং হজম শক্তি বাড়ায়।
« আমলকি ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস।
« তিল তারুণ্য ধরে রাখে।
« কাঁচা হলুদ ভালো রক্ত পরিষ্কারক।
« কালজিরাকে প্রাচীন কাল থেকেই বলা হয় হাজার রোগের ওষুধ। কালজিরার ঔষধি গুন সম্পর্কে হাদিসেও উল্লেখ আছে।
« স্পিরুলিনা শরীরের ক্ষয় পূরণ করে এবং উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবিটিসসহ অনেক রোগে উপকারী।
« রশুন সেদ্ধ পানি সর্দি-কাশি প্রতিরোধ করে।
« মুখের অপরিচ্ছন্নতা থেকে অনেক রোগ হয়। তাই রাতে শোয়ার আগে অবশ্যই দাঁত মাজুন এবং মোটামুটি শক্ত বিছানায় ঘুমানোর আগে শবাসন করতে করতে মনের যত দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন।
এত অল্প কথায় যা বলা হল তা স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিশাল জ্ঞান ভান্ডারের একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র।
উৎস ও ব্যবহারঃ-
স্বাস্থ্য বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।