এন্টিবায়োটিক ও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি, রেজিস্ট্যান্স হলে করণীয়
এন্টিবায়োটিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয়। আমাদের আজকের আলোচনা এন্টিবায়োটিকের খুটিনাটি সবকিছু নিয়ে।
এন্টিবায়োটিকঃ-
এন্টিবায়োটিক হচ্ছে সেই সব ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক বা পরজীবী ধ্বংস করে অথবা এদের বিষক্রিয়াকে নষ্ট করে। ব্যাকটেরিয়া জনিত বিভিন্ন রোগে এন্টিবায়োটিক একটি বহুল ব্যবহৃত সফল ঔষধ।এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সঃ-
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বলতে বোঝায় এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়া অর্থাৎ যদি এমন কোন ঔষধের বিরুদ্ধে জীবাণুর প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে যার প্রতি একসময় জীবাণুটি সংবেদনশীল ছিল (মানে ঔষধটি জীবাণুর বিষক্রিয়া নষ্ট করতে পারত) কিন্তু ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি এখন আর কাজ করতে পারছে না।অর্থাৎ কোনো বিশেষ জীবাণুর জন্য যেসব গুণাবলী ঔষধে থাকার কথা তা ঠিক রয়েছে এবং তা সঠিকভাবে সংরক্ষণও করা হয়েছে কিন্তু সবকিছুর পরও ওই জীবাণুর বিপক্ষে এটি আর কাজ করতে পারছে না!
যদি কোন জীবাণু এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়, তখন তাকে সহজ ভাষায় বলা যায় ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হয়ে যাওয়া। এর মানে হচ্ছে, তখন সেই জীবাণুর উপর সাধারণ কোন ঔষধ কাজ করতে পারবে না। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে কেন রেজিস্ট্যান্স হয়ে যায়।
প্রভাব ও করণীয়ঃ-
এন্টিবায়োটিক আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু বা ভাইরাস তার বিরুদ্ধে এন্টিবডি উৎপন্ন করে মানে জীবাণুগুলো এন্টিবায়োটিক এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যাবস্থা গড়ে তোলে। ফলে তারা সাময়িক ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয় এবং আমাদের শরীর সুস্থ হতে শুরু করে। কিন্তু জীবাণু বা ভাইরাস কিন্তু তখনো শরীরে থেকে যায় এন্টিবডির মাধ্যমে। এখন আমরা যদি ওই অবস্থায় এন্টিবায়োটিক খাওয়া বন্ধ করে দেই তাহলে জীবাণু গুলো পুনরায় আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে এবং আবার রোগ সৃষ্টি করে। কিন্তু সমস্যা হল আপনি যদি এখন আবার ওই এন্টিবায়োটিক খান তাহলে কিন্তু তা আর কাজ করবেনা। কারণ কী জানেন? ওই যে আপনার শরীরে আগের এন্টিবডি গুলো থেকে যায় তাই। তখন জীবাণু গুলো প্রথম থেকেই এন্টিবায়োটিক এর বিপরীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলে তখন আর ঐ গ্রুপের এন্টিবায়োটিকে কাজ হয় না। এমনকি ওই এন্টিবায়োটিক আপনার শরীরে আর কোনোদিন কাজ করবেনা। তাই আমাদের করনীয় হল যখনই এন্টিবায়োটিক দেওয়া হবে, অবশ্যই পুরো কোর্সটি সম্পন্ন করতে হবে।উৎস ও ব্যবহারঃ-
স্বাস্থ্য বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।