ছবি ঘর | নির্মাণ তথ্য | খাবার | কৃষি | পড়াশোনা | প্রযুক্তি | দেশ | ইসলাম | লগইন

ঔষধ কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

শরীরে যেকোন ধরণের অসুখ হলেই আমরা ডাক্তার দেখিয়ে থাকি। আর ডাক্তারের কথা মতো ঔষধও কিনে থাকি। ঔষধ যেমন রোগের উপশম ঘটায়, তেমনই অনেক সময় জীবনে এক বড় হুমকিও দিয়ে যেতে পারে। তাই ঔষধ কেনার সময় প্রেসক্রিপশন দোকানদারের হাতে দিয়েই নিশ্চিন্ত থাকবেন না। চলুন জেনে নিই ঔষধ কেনার সময় কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

মেয়াদকাল দেখে নিনঃ-

ঔষধের প্যাকেটের গায়ে মেয়াদকাল দেখে নিন। মেয়াদোত্তীর্ণ বা মেয়াদ শেষ হবার আর কয়েক মাস বা সপ্তাহ বাকি এ ধরণের ঔষধ কেনা থেকে বিরত থাকুন।

প্রেসক্রিপশান অনুযায়ী কিনুনঃ-

প্রেসক্রিপশানে যে ঔষধের নাম ডাক্তার লিখে দিয়েছেন, ঠিক সেই ঔষধটিই কিনুন। অনেক সময় দোকানদার নতুন বা নিম্নমানের কোন কোম্পানির ঔষধ কমিশনের লোভে আপনাকে ধরিয়ে দিতে পারে। এক্ষেত্রে বিভ্রান্ত হবেন না।

ইচ্ছে মতো ভিটামিন নয়ঃ-

অনেকেই শরীর দুর্বল লাগলেই নিজে থেকে ভিটামিন কিনে খেয়ে থাকেন। এটি ভুলেও করবেন না। শারীরিক দুর্বলতার অন্য অনেক কারণ থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ঔষধটি খেতে হবে।

একটু কম করে কিনুনঃ-

ডাক্তার যদি আপনাকে তিন মাসের ঔষধ খেতে বলেন এবং এক মাসের ভেতর আবারও দেখা করতে বলেন, সে ক্ষেত্রে এক মাসের ঔষধই কিনুন। কারণ এরপর হয়তো ডাক্তার কোনও ঔষধ বদলে দিতে পারেন। এছাড়াও পেইনকিলার বা স্যালাইন জাতীয় যে ঔষধগুলো সচরাচরই প্রয়োজন হয় সেগুলো একগাদা কিনে বাসায় রাখবেন না। কয়েকটি কিনে রাখুন। নয়তো ঘরে পরে থেকেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যেতে পারে।

দাম যাচাই করুনঃ-

ঔষধের প্যাকেটের গায়ে দাম লেখাই থাকে। তাই দাম পরিশোধ করার আগে যাচাই করে নিন।

সংরক্ষণ পদ্ধতি দেখে নিনঃ-

কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হয় কেননা সূর্যের তাপমাত্রায় এগুলোর কার্যকারিতা কমে আসে বা নষ্ট হয়ে যায়। তাই কেনার সময় দেখুন ঔষধটি কী অবস্থায় সংরক্ষিত ছিল।

ছেঁড়া, খোলা বা ফুটোযুক্ত প্যাকেট নয়ঃ-

কেনার সময় খেয়াল করুন ঔষধের প্যাকেট বা পাতাটি ছেড়া, ফুটোযুক্ত বা খোলা কিনা। এ ধরণের কিছু হলে কিনবেন না।

ব্যবহার বিধি জেনে নিনঃ-

প্রেসক্রিপশানে ঔষধের ব্যবহার বিধি লেখাই থাকে। তবুও আরেকবার ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকেও নিশ্চিত হয়ে নিন কখন, কতবার, খাবারের আগে না পরে ঔষধটি খাবেন।

শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুনঃ-

শুধুই ডাক্তারের পরামর্শে ঔষধ কিনুন। পরিচিত, একই রোগের রোগী বা ফার্মেসির কম্পাউন্ডারের পরামর্শে কখনই ঔষধ কিনবেন না। এতে হিতে বিপরীত হবার সম্ভাবনা থাকে।

উৎস ও ব্যবহারঃ-

স্বাস্থ্য বিষয়ক এই লিখাটি ইন্টারনেট ও বিভিন্ন বই থেকে তথ্য সংগ্রহ করে লিখা হয়েছে। এই লিখাটি সবার জন্যে উন্মুক্ত। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য ছাড়া যে কেউ এই লিখাটি ব্যবহার করতে পারবেন।

সর্বশেষ প্রকাশিত বিষয়

বিষয়: ব্রণ কি বা কাকে বলে, ব্রণ কেন হয়, ব্রণ এর লক্ষণ কি কি?

বিষয়: মুখের ব্রণ দূর করার ঔষধ বা ঔষধের নাম

বিষয়: ব্রণ বা ব্রণের দাগ দূর করার উপায় জেনে নিন

বিষয়: খাদ্য এবং পুষ্টি উপাদান (পরিমান সহ)

বিষয়: রোগ প্রতিরোধকারী খাবারের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

বিষয়: স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কখন কোন খাবার খাবেন

বিষয়: বিনা ওষুধে উপযুক্ত খাবারের দ্বারা রোগ নিরাময় করুন

বিষয়: রোগ প্রতিরোধক খাবার ও পানীয়ের একটি তালিকা

বিষয়: এন্টিবায়োটিক এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ক্ষতিকর প্রভাব

বিষয়: এন্টিবায়োটিক কাজ করছে না কেন, করণীয় কি?

বিষয়: ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স কি, ড্রাগ রেজিস্ট্যান্স হলে কি ক্ষতি হয়?

বিষয়: এন্টিবায়োটিক ও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কি, রেজিস্ট্যান্স হলে করণীয়

বিষয়: ঔষধ ও এন্টিবায়োটিক সম্পর্কে কিছু তথ্য

বিষয়: ঔষধ সংরক্ষণ, ব্যবহার বিধি ও সতর্কতা